গতানুগতিক চাকরি না খুঁজে, বেশিরভাগ মানুষই বেছে নিচ্ছেন স্বাধীনভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ। সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে দরকার একনিষ্ঠতা ও পরিশ্রম। আর এই উদ্যোক্তা হয়ে উঠার পথে মূলধন কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না, যদি কারো অদম্য ইচ্ছা থাকে। উদ্যোক্তা হিসেবে নারীরাও এখন অনেক ক্ষেত্রেই সংখ্যাগরিষ্ঠ। যেসকল নারীরা চিন্তা করছেন উদ্যোক্তা হওয়ার কিন্তু আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন না যে কীভাবে কী করবেন, কিংবা আদৌ পারবেন কিনা, আজকের লেখাটা তাদের জন্যই। উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করার ক্ষেত্রে কোন ব্যাপারগুলো গুরুত্বপূর্ণ চলুন জেনে নেই।

ব্যবসার ধরন নির্বাচন:

আপনার উদ্যোগটি অনলাইনভিত্তিক হবে না অফলাইন নাকি উভয় তা প্রথমে ঠিক করুন। এরপর ঠিক কী নিয়ে আপনি ব্যবসা করতে চান সেই ক্ষেত্রটি ঠিক করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার আইডিয়াটা হওয়া চাই একটু আলাদা। তাই সবার আগে মার্কেট জরিপ করা প্রয়োজন। জানা দরকার কী ধরনের পণ্য মানুষ এখন বেশি পছন্দ করছে, বা কী ধরনের পণ্য খুঁজছে কিন্তু পাচ্ছে না তাহলে সেই ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করলে মার্কেটে আপনার জায়গা বানাতে সহজ হবে।

পরিকল্পনা, দক্ষতাবৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণ:

আপনি যে বিজনেসই শুরু করেন না কেন, প্রথমে দরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা যে আপনি ঠিক আপনার উদ্যোগকে কোথায় দেখতে চান। এরপর দরকার দক্ষতা অর্জন। বিভিন্ন ধরনের বই ও ভিডিও এক্ষেত্রে আপনার সঙ্গী হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি অভিজ্ঞ কোনো উদ্যোক্তার পরামর্শ নিতে পারেন। কেননা সে আপনাকে হাতে-কলমে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বোঝাতে পারবে তার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে। পাশাপাশি কিছু বিষয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে পারলে ভালো। যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, ফাইনান্স, কাস্টমার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকেও আইডিয়ার উপর ভিত্তি করে স্টার্টআপের জন্য অনুদান দেওয়া হয়। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার সেখানে নারীদের অগ্রাধিকারও আছে।

ট্রেড লাইসেন্স ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট:

ব্যবসা শুরু করার আগেই আপনার ট্রেড লাইসেন্স করে ফেলা উচিত। এটি খুবই জরুরি একটা বিষয় সকল উদ্যোক্তাদের জন্য। উদ্যোগ অনলাইনভিত্তিক হোক বা অফলাইন ট্রেড লাইসেন্স অবশ্যই করতে হবে। এরপর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করবেন ব্যবসায়িক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমেই করার। রেগুলার ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এখন অবশ্য অনেকেই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করছেন।

পুঁজি:

ব্যবসা শুরু করতে গেলে সবচেয়ে কমন সমস্যাই হলো পুঁজি কীভাবে ম্যানেজ হবে। নিজের জমানো টাকা কিংবা পরিবার বা বন্ধুর কাছ থাকে ধার করা টাকাও আপনার পুঁজি হতে পারে। শুরুতেই অনেক বেশি অর্থ নিয়ে মাঠে নামতে হবে ব্যাপারটা এমন না। অল্প পুঁজি দিয়েই শুরু করা যায় যদি আপনার পরিকল্পনা ও মার্কেট রিসার্চ ঠিক থাকে। কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়া ঋণ পাওয়া একটু কঠিনও হয় এছাড়া শুরুতেই ঋণ পারতপক্ষে না নেয়ারই চেষ্টা করবেন।

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সাহস:

নতুন কিছু করতে গেলে চ্যালেঞ্জ আসবেই। নতুন উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এই চ্যালেঞ্জ আরেকটু বেশি। কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিত করা, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী খুঁজে পাওয়া, পেমেন্ট গ্রহণ করা, ভালো ডেলিভারি কোম্পানি খুঁজে পাওয়া ইত্যাদি আরও নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে। এগুলো কোনোটাই অতিক্রম করা অসম্ভব নয়। দরকার শুধু সাহস ও দৃঢ় মনোবল।

সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার:

উদ্যোক্তাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া আশীর্বাদ স্বরূপ। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসার পাশাপাশি অফলাইনের উদ্যোক্তারাও নিজেদের উদ্যোগের প্রসারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিচ্ছেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি নানা সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে খুব অল্প সময় ও খরচে আপনি আপনার উদ্যোগ অসংখ্য মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। ফলে আপনার কাস্টমারের সংখ্যাও বাড়বে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, শুরুতেই সাফল্য কিংবা অধিক লাভের আশা না করা। শুরুতে কয়েক মাস কিংবা পুরো বছর আশানুরূপ লাভ বা সফলতা নাও আসতে পারে কিন্তু হতাশ হওয়া যাবে না। ঠিক কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা খুঁজে নিজেকেই সমাধান করতে হবে এবং আরও ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে মনে সাহস নিয়ে শুরুটা করেই ফেলুন, সফলতা আসবেই।
যত দিন যাচ্ছে, প্রযুক্তিগত জ্ঞানে ততই সমৃদ্ধি লাভ করছি আমরা। এর ধারাবাহিকতায় নতুন নতুন ভাবনার সাথে ভিন্নধর্মী ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আর করোনাভাইরাসের হঠাৎ প্রাদুর্ভাবের কারণে আমাদের জনজীবনে যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে, তার অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে এই প্রযুক্তিগত সমৃদ্ধির কারণে। কারণ এর ফলে সামান্য পুঁজি নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করে অনেকেই সাফল্য অর্জন করেছেন।

অনলাইনে ব্যবসার পরিচিতি ও প্রসার খুব দ্রুত হয়। গ্রাহকের কাছে সহজে পৌঁছে যাবার এই সুবিধা অনলাইন ব্যবসায় খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার। তাই ঠিকমতো সাজাতে ও প্রমোট করতে পারলে অনলাইনে দ্রুত ব্যবসার প্রসার ঘটে। তবে স্বল্প পুঁজিতে কি নিয়ে ব্যবসা করলে লাভবান হওয়া যাবে - এই বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে নিজের জন্যও সহজ হবে এমন কোন বিষয় যা অনলাইনে বেশ জনপ্রিয়, যাতে লোকবল কম হলেও চলবে এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্যবসার বিষয় ঠিক করতে হবে।

অনেকেই এখন বুটিক, নিজ হাতে তৈরি গহনা, ঘরের আসবাবপত্র, নারীপুরুষের প্রসাধনী থেকে শুরু করে পোশাক, জুতা, ব্যাগ বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসা করছেন। কেউ কেউ ঘরে বানানো ঘি, আচার, কেক থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসা করছেন। অনলাইনে এসকল পণ্যের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। অনেকেই আবার অনলাইনে বিভিন্ন রকম ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করে হয়ে উঠছে স্বাবলম্বী।

আপনিও চাইলে আপনার প্রতিভা কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। নতুন আইডিয়া বা নতুন আঙ্গিকে কোন কাজ করে স্বল্প পুঁজিতেই আপনার স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেন - হয়ে উঠতে পারেন একজন আত্মনির্ভরশীল নারী উদ্যোক্তা।
লেখাটি ইংরেজিতে পড়তে: https://on.natgeo.com/305fARO
নতুন গন্তব্যে চলো আনন্দে

সেই কবে থেকে ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে প্রস্তুত আপনি! কিন্তু আপনার মনে ভর করে আছে উত্তেজনা, শঙ্কা, ভয়- পথে কী হয়, না হয়! যদি আপনার ট্যুর প্ল্যান সঠিক ভাবে করতে পারেন। আপনার ভ্রমণ হবে আনন্দময়।

কোথায় যাবেন, কীভাবে যাবেন, কেমন খরচ হবে, কী কী নিতে হবে, কী করতে হবে- এই বিষয়গুলো নিয়ে আগেই প্ল্যান করতে হবে। আর যদি আপনি হয়ে থাকেন একজন নারী ভ্রমণকারী তাহলে কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেসব বিষয় মাথায় রেখেই ট্যুর প্ল্যান সাজাবেন।

১. নিজের উপর আস্থা রাখুন
নতুন পথ আর পরিবেশ নিয়ে আগে থেকেই ভয় না পেয়ে নিজের উপর আস্থা রাখুন। মনে রাখবেন, আপনিই প্রথম নারী ভ্রমণকারী নন। আপনার আগে পুরো দুনিয়া চষে ফেলেছেন বহু নারী ভ্রমণকারী। তারা যদি পারেন, আপনি কেন পারবেন না? তাই আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে, আপনি পারবেন।

২. ব্যক্তিগত অ্যালার্ম কিংবা হুইসেল সাথে রাখুন যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনার
দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। তাই সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও সাহায্য চাওয়ার জন্য হুইসেল বা অ্যালার্ম সাথে রাখুন।

৩. ট্যুর গাইডে নির্ভর না করে প্ল্যান করুন
ট্যুর গাইডে ঠিক যেভাবে একটি স্থানের কথা বলা থাকে প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট কারণে আপনার ভ্রমণকালীন সময়ে পরিবেশ ও পরিস্থিতি সেরকম নাও থাকতে পারে। আবার অনেক সময় ট্যরি গাইডে সকল তথ্য হালনাগাদ নাও থাকতে পারে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আপনার ট্যুর প্ল্যান সাজাতে হবে। অনেক সময় অন্য ট্যুরিস্ট বা স্থানীয় গাইডদের কাছ থেকে তথ্য নিন।

৪. সময় নিয়ে ভ্রমণ করুণ
কোথাও ঘুরতে গেলে ৭ দিনে ৭ টি জায়গায় ঘুরে ফেলতে চাই। এতো দ্রত ট্রাভেল করলে স্থানীয় মানুষ, খাদ্য, তাদের আচার-আচরণ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। তাই ট্যুর প্ল্যান করার সময় বিষয়টি মাথায় রাখুন। ভ্রমণে কখনো হুড়োহুড়ি করবেন না। যতোটা সম্ভব একই স্থানে দীর্ঘ সময় কাটান।

৫. সতর্ক থাকুন
যাত্রাপথে সবসময় সতর্ক থাকবেন। নতুন বন্ধু নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। আপনি যে একা ঘুরতে এসেছেন বিষয়টি কখনোই অপরিচিত কাউকে বলবেন না। যেখানেই যাবেন সেখানকার জরুরি সেবা (যেমন: পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল) নম্বর সংগ্রহ করে নিবেন।

৬. ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে নিন
ব্যাকপ্যাক গোছানোর সময় মনে রাখবেন, যা ছাড়া চলা সম্ভব নয় শুধু সেসব জিনিসই আপনার ব্যাগপ্যাকে স্থান পাবে। বাড়তি কোন কিছু নিবেন না। এতে ওজন বেড়ে যাবে। যার ফলে ব্যাকপ্যাক আপনার কাছে বোঝা মনে হবে। তাই প্যান্ট, জুতা, জামা কাপড় যাই হোক-যতোটা প্রয়োজন ঠিক ততটা নিবেন।

৭. মোবাইল ফোন, চার্জার আর পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখুন
আপনার প্রয়োজনে মোবাইল ও চার্জার সাথে রাখুন। আর জরুরি পরিস্থিতিতে আপনার মোবাইলটি সচল রাখতে পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখুন। কারণ পরিবার পরিজনের সাথে যোগাযোগ কিংবা যেকোন প্রয়োজনে মোবাইল সচল থাকা খুবই দরকারী।

৮. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপত্রের মূল কপি সাথে রাখতেই হবে শুধু সেগুলো সাথে রাখবেন। অন্য সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবি তুলে বা স্ক্যান করে সেগুলো অনলাইন সার্ভার যেমন ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভে রাখতে পারেন। এতে আপনি বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থাকলেও প্রয়োজনে তা ডাউনলোড করতে পারবেন। এরফলে কাগজপত্র হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলেও জরুরি প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে পারবেন।

৯. বাড়তি অর্থ হাতে রাখুন
অবশ্যই বাড়তি অর্থ হাতে রাখবেন। যদি ভ্রমণে অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়তি অর্থর দরকার হয়ে পড়ে, তখন কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে না।

১0. ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন
আপনার ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দিন। হতে পারে, আপনি ভ্রমণে বের হবার পর আর ভালো লাগছে না। তখন ফিরে আসুন। অনিচ্ছা স্বত্বে সেখানে থাকবেন না।

সবশেষে একটি কথা মনে রাখবেন, যেখানেই ভ্রমণে যাবেন সব জায়গায় কেউ না কেউ আছে যারা আপনার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে। নতুন পরিবেশে নতুন করে বন্ধু তৈরি হবে। নানা ধরণের মানুষের সাথে পরিচয় হবেন । আর বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাবেন।

একটি উক্তি দিয়ে শেষ করি। বিখ্যাত লেখক সেন্ট অগাস্টিন বলেছেন: পৃথিবী একটি বই, আর যারা ভ্রমণ করে না তারা বইটি পড়তে পারে না।
আমাদের সমাজে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন কর্মস্থলে। অর্থনৈতিকভাবে নিজেকে স্বনির্ভর করে তোলার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই তারা। আর উদ্যোক্তা হিসেবে নারীর সাফল্য ঈর্ষণীয়।

অনেক মা-ই আজ ঘর-সংসার ও সন্তানদের দেখাশোনার পাশাপাশি নিজে কোন ব্যবসা করছেন। অনেকেই নিজের উদ্যোগে অনলাইনে ছোট বা মাঝারি ব্যবসা করছেন। এই নারী উদ্যোক্তারা নিজেদের মেয়েদেরকে অনেক অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেখাতে পারেন যা তাদেরকে স্বনির্ভর হতে সাহায্য করবে।

আমরা অনেকেই মনে করি, ব্যবসার চেয়ে চাকরি হয়তো নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য একটু বেশিই নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত উপায়। এ কারণে আমরা আমাদের সন্তানদের অনেকসময় ব্যবসার ব্যাপারে উৎসাহিত করি না। কিন্তু একজন উদ্যোক্তা মা চাইলেই নিজের মেয়েকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিতে পারেন, যাতে তারা ভবিষ্যৎ জীবনের জন্যে নিজেকে তৈরি করতে পারে।

আজকের দিনে অনেক নারীরই উদ্যোক্তা হবার প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি কারণ এ ক্ষেত্রে তারা নিজেদের জীবনযাত্রার সাথে মিল রেখে সুবিধা অনুযায়ী কাজ করতে পারছেন। এই মায়েরা তাদের মেয়েদেরকে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ছোট-ছোট বিষয় শেখাতে পারেন। এই শিক্ষা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়ে উঠতে পারে একেকজন সফল উদ্যোক্তা। তারা যে পেশাতেই যাক না কেন, উদ্যোক্তা মায়েরা তাদের নেতৃত্বের গূণাবলী বিকশিত করারও শিক্ষা দিতে পারেন।

একজন উদ্যোক্তা মা যেসব উপায়ে তাঁর মেয়েদেরকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিতে পারেন, সেগুলো হলোঃ

১। ছোট বয়স থেকেই মেয়েকে পরিশ্রমী হতে শেখান।

২। ছোট বয়স থেকেই মেয়েকে স্বাবলম্বী হতে শেখান। বিভিন্ন ছোট ছোট প্রাত্যহিক কাজ নিজে করার মাধ্যমেও শিশুরা পরবর্তী জীবনে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে অনেক বেশি সক্ষম হয়ে ওঠে।

৩। আপনি নিজে কিভাবে আপনার ব্যবসার প্রথম চিন্তা করেছিলেন সে ব্যাপারে মেয়েকে বলতে পারেন। আপনার মেয়ের যে বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ আছে, সেই আগ্রহের জায়গায় তার জন্যে কি ধরনের কাজ মানানসই হতে পারে সেটা বের করতে তাদের সাহায্য করতে পারেন।

৪। যখন সে কোন একটা কাজ নির্ধারণ করতে পারে তখন সেই কাজ করার জন্যে তার পূর্বে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেই ব্যাপারে তাকে গাইড করতে পারেন।

৫। যদি মেয়ে তার মায়ের উদ্যোগে যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটাতে কাজ করতে আগ্রহী হয় তবে তাকে নিজের সেই ব্যবসা কিভাবে শুরু হয়েছে, কিভাবে সে এটা কার্যকর করেছে এসব ব্যাপারে জানাবেন।

৬। সবসময় নিজের মেয়েকে সে যে ব্যাপারে কাজ করতে ইচ্ছুক সে ব্যাপারে উৎসাহিত করুন।

৭। কাজের ব্যাপারে নিজের মেয়েকে সবসময় আপনার স্ট্রাগল বা কষ্টের কথা জানাবেন। কারণ, আপনি যে পরিশ্রম করে আপনার ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠা করেছেন সেটা জানতে পেরে আপনার মেয়েও সেইভাবে উৎসাহিত হবে।

এসবের পাশাপাশি সবসময় নিশ্চিত করবেন নিজের সন্তানকে সঠিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেবার। কারণ, যে কোন পেশাতেই নৈতিকতার সাথে সাফল্য অর্জন করাটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

উদ্যোক্তা মায়েরা নিজেদের মেয়েকে আরও যেভাবে সাহায্য করতে পারে তা জানতে ক্লিক করুনঃ https://www.entrepreneur.com/article/319249?fbclid=IwAR1waECjzyAYZHxR8XfkblsCSKvuWE1D87XJmDWuLYCZT2mzAx91Txx5GcM
সাফল্যের পথ কখনও মসৃণ হয় না। সাফল্য পেতে কঠোর পরিশ্রমের সাথে চাই প্রবল আত্মবিশ্বাস। নিজের ভিতর লুকিয়ে থাকা সম্ভাবনাকে চেনার চেষ্টা করাই সাফল্যের প্রথম ধাপ। অনেক সময় আমরা খুব সহজেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। কিন্তু সাফল্যের জন্যে দরকার অধ্যবসায়। তাই কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি বিশ্বাস রাখতে হবে নিজের উপর। কারণ, আপনার সাফল্য আপনার নিজের হাতেই।

অনেক সময় আমরা ক্যারিয়ারের ব্যাপারে চিন্তা করতেই ঘাবড়ে যাই। কিন্তু ভয় না পেয়ে আমাদের উচিৎ ক্যারিয়ারের প্রতিটি ধাপকে সহজভাবে নেয়া। ক্যারিয়ার এর প্রথম ধাপ হচ্ছে ইন্টারভিউ। আর ইন্টারভিউ মানেই নিজেকে যাচাই করবার একটি বিশেষ সুযোগ। একটা ইন্টারভিউতে যেমন ভাবে আপনার ইন্টারভিউ যে নিবে সে আপনাকে যাচাই করতে পারে, তেমনিভাবে আপনি নিজেও নিজেকে যাচাই করার সুযোগ পান। ইন্টারভিউয়ের প্রধান ব্যাপার হচ্ছে খুব অল্প সময়ে নিজের উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে সবাইকে মুগ্ধ করা। ইন্টারভিউ বিভিন্ন রকমের হতে পারে সেখানে কোন বাঁধা ধরা প্রশ্ন থাকে না। তবে ইন্টারভিউ তে যাওয়ার সময় কিছু বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া জরুরী। তারই একটি হলো পোশাক বাছাই। আপনার পোশাকে আপনার ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন হয়। পোশাক আপনার আত্মবিশ্বাসের উপরেও বিশেষ প্রভাব রাখে। আসুন জেনে নেই মেয়েদের ইন্টারভিউতে পোশাক বাছাই নিয়ে কিছু বিশেষ টিপস্ঃ

১। যে অফিসে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা নিন আগে থেকেই। কোন ধরণের পোশাক সেখানে পরিধান করা হয় সে সম্পর্কে জানুন। যে অফিসে যেমন পোশাকের চল তেমন পোশাক পরে ইন্টারভিউ দিতে গেলে সেখানে বেশ স্বাছন্দ্য বোধ করবেন। শুধু তাই নয় এতে বোঝা যায় আপনার নিজেকে যে কোন কাজের পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা যা আপনার জন্যে একটা ইতিবাচক ধারণা দেয়।

২। খুব বেশি হাইহিল ইন্টারভিউতে না পরাই ভালো। কারণ যখন আপনি ইন্টারভিউ রুমে ঢুকবেন তখন হাইহিলের কারণে হাঁটার সময় শব্দ হতে পারে। এছাড়াও হাইহিল পরার কারণে আপনি অনেক বেশি সতর্ক থাকবেন যা হয়তো আপনার ইন্টারভিউকে প্রভাবিত করতে পারে।

৩। পুরনো পোশাক না পরাই ভালো। নতুন ঝকঝকে পরিষ্কার পোশাক পরে ইন্টারভিউ দিতে যান। নতুন পরিষ্কার পোশাক আপনাকে আত্মবিশ্বাস দিবে আর এটা আপনার ইন্টারভিউ যে নিবে তার উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

৪। যে রঙের পোশাকে আপনাকে মানায় সেটা বাছাই করুন। অনেক সময় উজ্জ্বল রঙ খুব চোখে লাগে। হাল্কা রঙ এর পোশাক বাছাই করুন। অনেক বেশি উজ্জ্বল রঙের পোশাক আপনার ব্যক্তিত্বকে অনেক সময় নষ্ট করে।

৫। গলায় ভারী গয়না পরবেন না। এতে করে যারা ইন্টারভিউ নিবেন তাদের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে। ছোটখাটো গহনা পরতে পারেন সাথে হাতঘড়ি পরা যেতে পারে। চেষ্টা করবেন এমন কোন ধরনের গহনা না পরা যেটাতে আওয়াজ হয়।

৬। প্রিন্টের পোশাক না পরাই ভালো। কারণ প্রিন্টের পোশাক অনেক বেশি চোখে লাগে। এর চাইতে একরঙা পোশাকে আপনাকে বেশ মার্জিত লাগবে।

৭। এছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে পারফিউম। সবসময় চেষ্টা করবেন ইন্টারভিউ দিতে যাবার আগে হালকা পারফিউম ব্যবহার করার। বেশি কড়া পারফিউম ব্যবহারে ইন্টারভিউ যে নিবে তার জন্যে বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে।

পোশাক বাছাইয়ের ব্যাপারে প্রস্তুতি শেষে এখন জেনে নিন কোন কোন ব্যাপারে ইন্টারভিউতে কথা বলা উচিত না; বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুনঃ https://www.prothomalo.com/life-style/article/352126
আচ্ছা, আত্মরক্ষা শব্দটি শুনলে আমাদের কারো কল্পনায় কি এরকম ছবি ভাসে যেখানে একটা মেয়ে একটা ছেলের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে?হয়তো আসে তবে সংখ্যাটা খুব কম।

এ যুগের মেয়েরা ঘরকুনো সমাজের গণ্ডি পেরিয়ে এগিয়ে গেছে অনেক দূর। পড়াশোনা, চাকরি, সংসার, ব্যবসা বিভিন্ন প্রয়োজনে তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে ঘরের বাইরে। একা একা চলাফেরা করতে তারা অভ্যস্ত। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা প্রায়ই দেখে থাকি পথে-ঘাটে মেয়েরা বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনা ও হয়রানির শিকার হয়। আমরা প্রথমে দুঃখ প্রকাশ করি তারপর বিষয়টা ভুলে যাই। একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর যেই মানসিক ও শারীরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়, উপযুক্ত শাস্তি আর শান্তনা দিয়ে তা কখনই ফিরে আসে না। এইজন্য প্রতিটা মেয়ের উচিত আত্মরক্ষার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখা। আত্মরক্ষার কলাকৌশল জেনে রাখার আছে অনেক সুফল।

আত্মরক্ষা মেয়েদের সাহায্য করে নিজের ও পরিবারের যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে বেরিয়ে আসতে। সমাজে পুরুষদের কাছে নিজেকে দুর্বল ভাবার প্রাচীন মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতেও আত্মরক্ষা জানা চাই। নিয়মিত শরীর চর্চা একদিকে শরীর ও মন ভালো রাখে আরেকদিকে রুটিন মাফিক গোছানো জীবনের অভ্যাস তৈরি করে।

যে কোনো ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে কিংবা নিজেকে সেখান থেকে বের করতে আত্মরক্ষার অবলম্বন চাই। মানসিক ওর শারীরিকভাবে শক্ত একজন মেয়ে তার চারপাশের মানুষদের জন্য আদর্শ হতে পারে যা নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখে। এরকম ক্ষেত্রে কোন পুরুষ সুযোগ নেয়া কিংবা ক্ষমতা প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকে।

আত্মরক্ষার কৌশল শেখার মাধ্যমে একজন মেয়ে তার ভেতোরে থাকা ভয়কে জয় করতে পারে। যে সমাজে নিজের অধিকার আদায় করে নিতে হয় সেই সমাজে বেঁচে থাকার জন্য আত্মরক্ষা ছাড়া উপায় নেই। পুরুষ শাসিত সমাজে ন্যায্য অধিকার ও সম্মান নিয়ে বাস করতে অবশ্যই আত্মরক্ষা জানা চাই।

কোথায় এবং কীভাবে শিখবেনঃ

ডিজিটাল যুগে গুগোল বা ইউটিউব থেকে আপনি আত্মরক্ষার অনেক কলাকৌশল শিখতে পারবেন। তবে পরিপূর্ণতা লাভের জন্য যতোটুকু শেখা তার চেয়েও বেশি অনুশীলন প্রয়োজন। ঢাকার বেশ কিছু জায়গা যেখানে আপনি আত্মরক্ষার কলাকৌশল শিখতে পারবেন তার লিংক নিচে দেয়া হলো-
Not everything can be seen with the naked eye
Be aware & get regular checkups for breast cancer.


October is Breast Cancer Awareness month and BRAC Bank would like to draw attention to the risks associated with breast cancer. Every year in Bangladesh 12,764 women are affected by breast cancer, leading to untimely deaths. When abnormal cells grow rapidly and begin to invade surrounding tissues of the breast, they form cancerous tumors. These invisible to the eye lumps/tumors pose a serious risk and can spread, causing risks of breast cancer.

Early detection and treatment are the best strategy for a better cancer outcome. All women must have medical checkups and mammograms on a regular basis. If you or any woman you know suspects anything unusual, please consult a doctor right away.

So, be aware of any changes (such as a new lump or skin changes) in your breasts and don’t delay to get your regular breast checkups commonly known as Mammogram.

Be cautious about breast cancer detection and visit your nearby diagnostic center like the ones mentioned below:

United Hospital
10666, +8801914001234, 02-9852466
http://www.uhlbd.com/

Square Hospital Ltd
Helpline 10616
https://www.squarehospital.com/

Apollo Hospital
10678, 02-55037242, 09606-276555
https://www.apollodhaka.com/
TARA Home Page